সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক | জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ fever antibiotic list
জ্বর এবং সর্দি একটি সাধারন সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের সাথে অথবা শরীরে যে কোন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমরা জ্বরে ভুগে থাকি।
যদি কেউ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়; তাহলে তাকে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হয়।
আজকের এই টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক, জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ, জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম, এন্টিবায়োটিক কতদিন কাজ করে, জ্বরের ট্যাবলেট এর নাম, জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ এবং জ্বরের এন্টিবায়োটিক আপনি কিভাবে সেবন করবেন সেই বিষয়ে।

সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক
সর্দি জ্বর হলে আমাদের অবশ্যই এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত যদি সর্দি জ্বর স্বল্প সময়ের ভিতর না কমে। তবে যে কোন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাকে জ্বরের ধরন বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ
আমি এখানে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম গুলো তুলে ধরছি আপনারা প্রয়োজন মত এন্টিবায়োটিক গুলো আপনাদের নিকটস্থ দোকান থেকে কিনে সেবন করতে পারেন।
- Azinil 500 mg
- Adiz 500 mg
- AM 500 mg
- Apozyth 500 mg
- AZ 500 mg
- Azicin 500 mg
- Azimex 500 mg
- Azin 500 mg
- Azin 500 mg
- Azithrocin 500 mg
- Odazyth 500 mg
- Romycin 500 mg
- Tridosil 500 mg
- Zimax 500 mg
- Zithrin 500 mg
- Zithrox 500 mg
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম বাংলাদেশ
- Ciprocin 500 mg Square Pharmaceuticals Ltd.
- Beuflox 500 mg Incepta Pharmaceuticals Ltd.
- Cipro-A 500 mg ACME Laboratories Ltd.
- Ciprox 500 mg Opsonin Pharma Ltd.
- Flontin 500 mg Renata Limited
- Ciprozid-DS 500 mg Drug International Ltd.
- Ciprozen DS 500 mg Zenith Pharmaceuticals Ltd.
- Bactin 500 mg Ibn Sina Pharmaceuticals Ltd.
- Floxabid 500 mg ACI Limited
- Neofloxin 500 mg Beximco Pharmaceuticals Ltd.
- Quinox 500 mg Eskayef Pharmaceuticals Ltd.
- Cibact 500 mg Euro Pharma Ltd.
জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম
জ্বর হলে এবং সেই জ্বর যদি ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। তবে এই এন্টিবায়োটি কতদিন ব্যবহার করতে হবে এর একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। প্রত্যেকটি এন্টিবায়োটিকেরই একটি নির্দিষ্ট কোর্স রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই এন্টিবায়োটিকের কোর্স পূরণ করতে হবে। বয়স ভেদে এবং শারীরিক অবস্থা ভেদে সাধারণত কোর্স নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাধারণত এন্টিবায়োটিক এর ওষুধের কোর্স ছয় থেকে সাতটি ট্যাবলেটে নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে এন্টিবায়োটিক এর ধরন অনুযায়ী কোর্সের মাত্রা আলাদা আলাদা হতে পারে। তাই আপনি এন্টিবায়োটিক সেবন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিটি ওষুধেরই কোন না কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে ওষুধগুলো তৈরি করা হয় মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য। অতিরিক্ত মাত্রায় এন্টিবায়োটিক সেবন করলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এবং সঠিক কোর্স অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার যদি সঠিক রুপে আপনি করতে পারেন তাহলে ক্ষতি থেকে উপকারের পরিমাণটা বেশি হবে। প্রতিটি এন্টিবায়োটিক ওষুধ নানান ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর বাজারে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এন্টিবায়োটিক এ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলেও এর উপকারের পরিমাণ বেশি। তাই দুশ্চিন্তা না করে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ মত আপনার যদি এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি সেবন করতে পারেন।
আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনি কিছুটা হলে উপকৃত হয়েছেন, যদি পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন।