কেন পিরিয়ড বা মাসিক হয়? Period in bangla
পিরিয়ড এর বাংলা হল মাসিক। এটি কেন হয়? এটি হলে কি দুশ্চিন্তার কোনো প্রয়োজন
আছে? আজকের এই পোস্টে এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রথম মাসিক হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই, তবে হ্যাঁ মাসিক তাড়াতাড়ি শুরু হবে এর কতগুলো পূর্বলক্ষণ রয়েছে:
অধিকাংশ সময় এমনটি হতে প্রায়ই দেখা যায় যে, একটা মেয়ের মাসিক শুরু হয় তার স্তন বড় হওয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায়।
আর একটা সংকেত হলো: ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ অর্থাৎ স্রাব (স্রাব হচ্ছে আঠালো এক ধরনের স্বচ্ছ তরল পদার্থ) যেটা একটা মেয়ে তার আন্ডারওয়ারে লেগে থাকতে দেখতে পারে অথবা অনুভব করতে পারে যে আঠার মতো কিছু একটা তার আন্ডারওয়্যারের লেগে আছে।
এমনটি সাধারণত হয়ে থাকলে বুঝতে হবে যে তার মাসিক ৬ মাস থেকে ১ বছরের ভিতর শুরু হবে। মাসিক শুরু হওয়ার এটি অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
এই প্রক্রিয়াটি প্রতি মাসে অন্তত একবার হয় এবং পুনঃ পুনঃ চলতে থাকে।না যেন খানে নিষিক্ত ডিমটি ষকে পূর্ণতা দিতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতি মাসে অন্তত একবার হয় এবং পুনঃ পুনঃ চলতে থাকে।
হরমোন দ্বারা জরায়ুর পাশে এই ধরনের লাইন তৈরি হতে এবং ভাঙতে সাধারণত এক মাস সময় লাগে। এ কারণেই অধিকাংশ মেয়েরা এবং মহিলারা এক মাসে একটি বার পিরিয়ডের সম্মুখীন হয়।
উপরের ছবিতে যে লালচে রক্তনালী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এটিই মূলত হরমোন দ্বারা গঠিত রক্তনালী এবং মাসিকের সময় এটি নিঃসরণ হয়ে বাইরে চলে আসে।
যদি শুক্রানু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে থাকে, এটা তখন জরায়ুর গায়ে লেগে থাকে। এবং সময়ের সাথে সাথে এটা একটি বাচ্চার রূপ নেয়।
আবার যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয় তাহলে জরায়ুতে যে লাইন তৈরি হয় সেটি ভাঙ্গা শুরু হয় এবং রক্তপাত ঘটায় যেটাকে আমরা সাধারণত পিরিয়ড বলি।
ঋতুচক্র শুরু হলে কি মাসিক নিয়মিত হয়?
মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক মাস মাসিক নিয়মিত নাও হতে পারে। প্রথম প্রথম এটা স্বাভাবিক। প্রথম মাসিক হওয়ার ২/৩ বছর পর, মাসিক প্রতি চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর পর সংঘটিত হয়।
অধিকাংশ মেয়ের দিনে তিন থেকে ছয় বার প্যাড, তুলার পট্টি বা মেনস্ট্রুয়াল কাপ পরিবর্তন করা লাগতে পারে।
তাছাড়া গর্ভকালীন সময়েও মাসিক বন্ধ থাকে।
পিরিয়ড হওয়ার প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলো এমনিতেই চলে যায়।
যদি এই বিষয়টা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে তাহলে আপনি নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
এটা নিয়ে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা আছে। এজন্য মেয়েরা শারীরিক ব্যায়াম, আনন্দ উল্লাস এবং তাদের জীবন উপভোগ করতে পারেন এই সময়টাতে। তাদেরকে ঘরের কোণে বসিয়ে রাখা হয়। যদি বিষয় আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার ডাক্তার, পিতা মাতা, বড় বোন, নার্স অথবা শিক্ষকদের থেকে বিষয়টার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান দিতে পারেন।
হ্যালো প্রিয় পাঠক আমি ডঃ সাহানাজ ইসলাম আজ আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি নতুন একটি
টপিক আশা করি আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে নতুন আরো অজানা কিছু তথ্য পাবেন যা
আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে অনেক অংশই কাজে লাগবে। তাই আশা করছি পোস্টটি
সম্পূর্ণ পড়বেন।
পিরিয়ড বা মাসিক কি?
সহজভাবে এবং সাধারন কথায় পিরিয়ড হলো রক্তের প্রবাহ অর্থাৎ একটা মেয়ের জরায়ু থেকে যৌনাঙ্গের বাইরে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যে রক্ত সঞ্চালিত হয়, তাকে পিরিয়ড বা মাসিক বলে। একটা মেয়ের পরিপূর্ণতা অর্থাৎ মা হওয়ার যোগ্যতার পূর্ব নিদর্শন হচ্ছে এই মাসিক প্রক্রিয়া।কখন অধিকাংশ মেয়েদের মাসিক শুরু হয়?
অধিকাংশ মেয়েরা ১২ বছর বয়সে তাদের প্রথম মাসিকের সম্মুখীন হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি ১০এবং ১৫ বছর বয়সেও হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় কারণ প্রত্যেক মেয়েরই নিজস্ব দৈহিক গঠন রয়েছে।প্রথম মাসিক হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই, তবে হ্যাঁ মাসিক তাড়াতাড়ি শুরু হবে এর কতগুলো পূর্বলক্ষণ রয়েছে:
অধিকাংশ সময় এমনটি হতে প্রায়ই দেখা যায় যে, একটা মেয়ের মাসিক শুরু হয় তার স্তন বড় হওয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায়।
আর একটা সংকেত হলো: ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ অর্থাৎ স্রাব (স্রাব হচ্ছে আঠালো এক ধরনের স্বচ্ছ তরল পদার্থ) যেটা একটা মেয়ে তার আন্ডারওয়ারে লেগে থাকতে দেখতে পারে অথবা অনুভব করতে পারে যে আঠার মতো কিছু একটা তার আন্ডারওয়্যারের লেগে আছে।
এমনটি সাধারণত হয়ে থাকলে বুঝতে হবে যে তার মাসিক ৬ মাস থেকে ১ বছরের ভিতর শুরু হবে। মাসিক শুরু হওয়ার এটি অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
কেন পিরিয়ড বা মাসিক হয়?
শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণেই মাসিক সংগঠিত হয়ে থাকে। হরমোন শরীরের রাসায়নিক
বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে। নারীর শরীরের ডিম্বাশয়
estrogen and progesterone
নামক দুইটি হরমোন নিঃসরণ করে থাকে।এই দুটি হরমোন নারীদের শরীরের জরায়ু গঠন তৈরি
করে।
এই দুইটি হরমোন জরায়ুর পাশে এক ধরনের লাইনের মতো তৈরি করে। এবং যে লাইন তৈরি হয়
ওই লাইন একটি নিষিক্ত ডিম এর জন্য অপেক্ষা করে যেন ওখানে নিষিক্ত ডিমটিকে পূর্ণতা
দিতে পারে। যদি এখানে কোন নিষিক্ত ডিম না পৌঁছায় ওই লাইন ভাঙ্গা শুরু হয় এবং
রক্তপাত হয়।
সহজ কথায়, পিউবার্টি শুরু হলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণুর নির্গমন হয়। ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্বনালী বরাবর চলে আসে। ঠিক একই সময় জরায়ুর পাশে এক ধরনের নরম রক্তের আস্তরণ তৈরি হয়। যদি এই সময়টাতে যৌনমিলন করা হয় তাহলে ডিম্বাশয় থেকে নির্গত ডিম্বানু, শুক্রাণুর সংস্পর্শে এসে নিষিক্ত হয় তখন সেটিকে ভ্রুণ বলা হয়। এই ভ্রুণ, হরমোন দ্বারা তৈরি হওয়া রক্তের আস্তরণে বসে ধীরে ধীরে বাচ্চায় পরিণত হয়।
অন্যদিকে যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে আর রক্তের আস্তরণে তৈরি হওয়া পর্দার প্রয়োজন হয়না। ডিম্বাশয় থেকে নির্গত হওয়ার ডিম্বাণু এবং রক্তের আস্তরন তখন মাসিক আকারে যোনিপথের বাইরে বেরিয়ে আসে।
সহজ কথায়, পিউবার্টি শুরু হলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণুর নির্গমন হয়। ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্বনালী বরাবর চলে আসে। ঠিক একই সময় জরায়ুর পাশে এক ধরনের নরম রক্তের আস্তরণ তৈরি হয়। যদি এই সময়টাতে যৌনমিলন করা হয় তাহলে ডিম্বাশয় থেকে নির্গত ডিম্বানু, শুক্রাণুর সংস্পর্শে এসে নিষিক্ত হয় তখন সেটিকে ভ্রুণ বলা হয়। এই ভ্রুণ, হরমোন দ্বারা তৈরি হওয়া রক্তের আস্তরণে বসে ধীরে ধীরে বাচ্চায় পরিণত হয়।
অন্যদিকে যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে আর রক্তের আস্তরণে তৈরি হওয়া পর্দার প্রয়োজন হয়না। ডিম্বাশয় থেকে নির্গত হওয়ার ডিম্বাণু এবং রক্তের আস্তরন তখন মাসিক আকারে যোনিপথের বাইরে বেরিয়ে আসে।
এই প্রক্রিয়াটি প্রতি মাসে অন্তত একবার হয় এবং পুনঃ পুনঃ চলতে থাকে।না যেন খানে নিষিক্ত ডিমটি ষকে পূর্ণতা দিতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতি মাসে অন্তত একবার হয় এবং পুনঃ পুনঃ চলতে থাকে।
হরমোন দ্বারা জরায়ুর পাশে এই ধরনের লাইন তৈরি হতে এবং ভাঙতে সাধারণত এক মাস সময় লাগে। এ কারণেই অধিকাংশ মেয়েরা এবং মহিলারা এক মাসে একটি বার পিরিয়ডের সম্মুখীন হয়।
![]() |
কেন পিরিয়ড বা মাসিক হয়? |
উপরের ছবিতে যে লালচে রক্তনালী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এটিই মূলত হরমোন দ্বারা গঠিত রক্তনালী এবং মাসিকের সময় এটি নিঃসরণ হয়ে বাইরে চলে আসে।
ডিম্বস্ফুটন পিরিয়ড এর সাথে সম্পৃক্ত কেন?
ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ কে ডিম্বস্ফোটন বলা হয়।যে দুইটা হরমোন জরায়ুতে লাইন তৈরি করে সেই একই হরমোন ডিম্বাশয় থেকে হরমোন ত্যাগের জন্য ভূমিকা রাখে। ডিম Fallopian নামক এক ধরনের পাতলা টিউবের ভিতরে দিয়ে জরায়ু অভিমুখে যাত্রা করে।যদি শুক্রানু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে থাকে, এটা তখন জরায়ুর গায়ে লেগে থাকে। এবং সময়ের সাথে সাথে এটা একটি বাচ্চার রূপ নেয়।
আবার যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয় তাহলে জরায়ুতে যে লাইন তৈরি হয় সেটি ভাঙ্গা শুরু হয় এবং রক্তপাত ঘটায় যেটাকে আমরা সাধারণত পিরিয়ড বলি।
ঋতুচক্র শুরু হলে কি মাসিক নিয়মিত হয়?
মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক মাস মাসিক নিয়মিত নাও হতে পারে। প্রথম প্রথম এটা স্বাভাবিক। প্রথম মাসিক হওয়ার ২/৩ বছর পর, মাসিক প্রতি চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর পর সংঘটিত হয়।
পিরিয়ড হওয়ার পর একটা মেয়ে কি গর্ভবতী হতে পারে?
হ্যাঁ, পিরিয়ড হওয়ার পর একটা মেয়ে গর্ভবতী হতে পারে। একটা মেয়ে প্রথম মাসিক হওয়ার পর থেকে গর্ভবতী হওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়।এর কারণ হলো তার শরীরে মা হওয়ার সকল ধরনের হরমোন তৈরি হয়। ঋতুচক্র শুরু হলে তার শরীরের হরমোন গুলো সক্রিয় হতে শুরু করে। এই হরমোন গুলো তার শরীরে ডিম্বস্ফুটন ঘটায় এবং জরায়ুর পাশে রক্তনালী তৈরি করে।পিরিয়ড কতক্ষণ পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়?
পিরিয়ড সাধারণত চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। কিন্তু এই মাসিক কারো কারো ক্ষেত্রে কম সময়ের জন্য আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বেশি সময় স্থায়িত্ব লাভ করে।পিরিয়ড কতবার সংঘটিত হয়?
পিরিয়ড সাধারণত প্রতি চার থেকে পাঁচ সপ্তাহে একবার করে হয়। কিন্তু কিছু কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে এটি আরো কম বা বেশি সময়ের মধ্যে হয়ে থাকতে পারে।আমার কি প্যাড, তুলার পট্টি অথবা মেনস্ট্রুয়াল কাপ পরা উচিত?
মাসিকের রক্ত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আপনি অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে পারেন।
প্যাড, তুলার পট্টি অথবা কাপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন কোনটা আপনার জন্য
সুইটেবল হয়।
কিছু কিছু মেয়েরা একটা পদ্ধতিতে তাদের মাসিক চলাকালীন সময়ে রক্ত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে অনেকে আবার একাধিক পদ্ধতির ব্যবহার করে থাকেন ক্ষেত্র বিশেষে।
অধিকাংশ মেয়েরা তাদের প্রথম পিরিয়ড এ প্যাড ব্যবহার করে থাকেন। প্যাড সাধারণত তুলা দিয়ে তৈরি হয় এবং এটির অনেকগুলো সাইজ পাওয়া যায়। সহজে আন্ডারওয়ারের সাথে লাগিয়ে রাখার জন্য প্যাডে আঠালো স্ট্রিপ দেওয়া থাকে।
সাধারণত যখন মেয়েরা খেলাধুলা অথবা সুইমিং করে তখন প্যাড এর থেকে তুলার পট্টি ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
কিছু কিছু মেয়েরা একটা পদ্ধতিতে তাদের মাসিক চলাকালীন সময়ে রক্ত নিয়ন্ত্রণ করে থাকে অনেকে আবার একাধিক পদ্ধতির ব্যবহার করে থাকেন ক্ষেত্র বিশেষে।
অধিকাংশ মেয়েরা তাদের প্রথম পিরিয়ড এ প্যাড ব্যবহার করে থাকেন। প্যাড সাধারণত তুলা দিয়ে তৈরি হয় এবং এটির অনেকগুলো সাইজ পাওয়া যায়। সহজে আন্ডারওয়ারের সাথে লাগিয়ে রাখার জন্য প্যাডে আঠালো স্ট্রিপ দেওয়া থাকে।
সাধারণত যখন মেয়েরা খেলাধুলা অথবা সুইমিং করে তখন প্যাড এর থেকে তুলার পট্টি ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
একটু পুরু করে তুলার পট্টি ভ্যাজাইনার উপরে খুব সুন্দর ভাবে লাগানো হয়।
তুলার পট্টি সহজেই ভ্যাজাইনা থেকে নির্গত রক্ত চুষে নিতে পারে।
কিন্তু অবশ্যই একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে তুলার পট্টি কখনোই ৮ঘন্টা এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। একটানা অধিক সময় ব্যবহারের ফলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
আমি আমার পাঠকদের বলবো আপনারা অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হবেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন এবং আধুনিক প্যাড ব্যবহারে অভ্যস্ত হবেন।
কিছু কিছু মেয়ে মেন্সট্রুয়াল কাপ পরতে পছন্দ করে। এই কাপগুলো সিলিকন দ্বারা তৈরি হয়।পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যোনির মধ্যে এই কাপ প্রবেশ করিয়ে রেখে দিতে হয়।
কিন্তু অবশ্যই একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে তুলার পট্টি কখনোই ৮ঘন্টা এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। একটানা অধিক সময় ব্যবহারের ফলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
আমি আমার পাঠকদের বলবো আপনারা অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হবেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন এবং আধুনিক প্যাড ব্যবহারে অভ্যস্ত হবেন।
কিছু কিছু মেয়ে মেন্সট্রুয়াল কাপ পরতে পছন্দ করে। এই কাপগুলো সিলিকন দ্বারা তৈরি হয়।পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যোনির মধ্যে এই কাপ প্রবেশ করিয়ে রেখে দিতে হয়।

পিরিয়ড চলাকালীন সময় কতটুকু রক্ত বের হয়ে আসে?
এটা দেখতে অনেক খানি রক্ত মনে হলেও একটা মেয়ে তিন থেকে চার দিনের মাসিক চলাকালীন সময়ে কয়েক চা চামচ রক্ত নিঃসরণ করে থাকে।অধিকাংশ মেয়ের দিনে তিন থেকে ছয় বার প্যাড, তুলার পট্টি বা মেনস্ট্রুয়াল কাপ পরিবর্তন করা লাগতে পারে।
আমার সারা জীবন ধরে কি পিরিয়ড হতে থাকবে?
যখন মহিলারা মেনোপজ অবস্থানে পৌঁছায় অর্থাৎ ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে পৌঁছালে, তাদের মাসিক হওয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।তাছাড়া গর্ভকালীন সময়েও মাসিক বন্ধ থাকে।
PMS কি?
মাসিক শুরু হওয়ার পূর্বে মেয়েরা যে মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে যায় তাকে পিএমএস (premenstrual syndrome) বলে। এসকল লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে, মন খারাপ থাকা, উদ্বিগ্নতা, শরীর ফুলে যাওয়া, এবং শরীরে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি।পিরিয়ড হওয়ার প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলো এমনিতেই চলে যায়।
Read More : ব্রণ অথবা পিম্পল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
মাসিকের রক্ত নিঃসরণে বাধাপ্রাপ্ত হলে করণীয়:
অনেক মেয়েই আছে যাদের মাসিক হওয়ার সময় রক্ত নিঃসরণ বাধাপ্রাপ্ত হয় অর্থাৎ রক্ত ঠিকমতো নির্গমন হয় না।যদি এই বিষয়টা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে তাহলে আপনি নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
- আপনার পেটের উপর একটা গরম হিটিং প্যাড রাখতে পারেন। অথবা ঈষৎ উষ্ণ গরম পানি বোতলে করে আপনার পেটের উপর রাখতে পারেন।
- শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা হলে আপনি ibuprofen অথবা naproxen গ্রুপের ওষুধ খেতে পারেন।
আমার কি এই বিষয়টা নিয়ে ডাক্তার দেখানো উচিত?
অধিকাংশ মেয়েদের মাসিক নিয়ে সাধারণত কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। তবে আপনার সাথে যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ঘটে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই একজন ডাক্তার দেখাবেন।- আপনার বয়স ১৫ কিন্তু আপনার মাসিক এখনো শুরু হয়নি।
- আপনার দুই বছর ধরে নিয়মিত মাসিক হচ্ছে তবে এখন নিয়মিত এটি আসে না, সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তার দেখাতে পারেন।
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকলে।
- আপনার যদি মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হয় অর্থাৎ যদি মাসিক ক্লিয়ার না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তার দেখাতে পারেন।
- ibuprofen or naproxen যদি কাজ না করে সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখাতে পারেন।
- আপনার যদি প্রচন্ড পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয় এবং যদি প্যাড অথবা তুলার পট্টি প্রতি ১ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ ভিজে যায় সে ক্ষেত্রে।
- যদি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাসিক স্থায়ী হয়।
- শারীরিক এবং মানসিক অবসাদের জন্য যদি দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
মনে রাখা প্রয়োজন:
মাসিক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এবং মেয়েদের জিবনে জৈবিক একটা প্রক্রিয়া।এটা নিয়ে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা আছে। এজন্য মেয়েরা শারীরিক ব্যায়াম, আনন্দ উল্লাস এবং তাদের জীবন উপভোগ করতে পারেন এই সময়টাতে। তাদেরকে ঘরের কোণে বসিয়ে রাখা হয়। যদি বিষয় আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার ডাক্তার, পিতা মাতা, বড় বোন, নার্স অথবা শিক্ষকদের থেকে বিষয়টার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান দিতে পারেন।