Relational Database Management System RDBMS
DBMS-এর কাজ (Functions of DBMS)
Relational Database Management System RDBMS |
- প্রয়ােজন অনুযায়ী ডেটাবেজ তৈরি করা।
- নতুন ডেটা ও রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা।
- ডেটার বানান ও সংখ্যার ভুল অনুসন্ধান ও সংশােধন করা। বিভিন্ন ধরনের রিপাের্ট প্রণয়ন করা।
- অপ্রয়ােজনীয় ডেটা ও রেকর্ড মুছে ফেলা।
- প্রয়ােজন অনুযায়ী সম্পূর্ণ ডেটাবেজকে যে কোনাে ফিল্ডের ভিত্তিতে সাজানাে।
- পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা করা।
- তথ্যের পুনঃপুন ব্যবহার যথাসম্ভব কমাননা।
DBMS-এর সুবিধা (Advantages of DBMS) :
- ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অধীনে সমস্ত ডেটা সঠিকভাবে রাখা যায় এবং ডেটা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- একই ডেটা বার বার ব্যবহৃত হয় না, ফলে স্টোরেজ ডিভাইসে জায়গা কম লাগে।।
- রেকর্ডকৃত ডেটাকে এক বা একাধিক ফিল্ডের ভিত্তিতে উচ্চক্রম বা নিম্নক্রম অনুযায়ী সাজানাে যায়।
- একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারী একই তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে।
- রেকর্ডকৃত ডেটাকে অন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রামেও ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যায়।
- তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তথ্যের স্বনির্ভরতা তৈরি করা যায়।
- শক্তিশালী ব্যাকআপ ও রিকভারি সিস্টেমের সুবিধা রয়েছে।
- স্বল্পতম সময়ে সহজে ডেটা খুঁজে বের করা যায়।
- সহজে ও কম সময়ে ডেটাবেজ তৈরি করা যায়।
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। Relational Database Management System RDBMS
ফাইলগুলােকে শুধুমাত্র রেকর্ডের তালিকায় সারি ও কলাম বিশিষ্ট টেবিলে বিবেচনা করা হয়। এ ধরনের ডেটাবেজকে রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে। রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলাে সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেজ। এ ধরনের ডেটাবেজে উপাত্তসমূহকে বিভিন্ন সারিতে সংগঠিত করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে এডগার ফ্রাঙ্ক কড (Edgar Frank Codd) রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তন করেন।
এডগার ফ্রাঙ্ক কড (আগস্ট ২৩, ১৯২৩ - এপ্রিল ১৮, ২০০৩) ছিলেন একজন ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানী। সম্পর্কভিত্তিক ডেটাবেজ তত্ত্বে অসামান্য অবদান রাখার জন্য তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। আইবিএম এর জন্য কাজ করার সময়কালে তিনি ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার সম্পর্কিত মডেল উদ্ভাবন করেন। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে অন্যান্য আরও অনেক কৃতিত্ব রেখে থাকলেও, ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার জন্যে তাঁর দেওয়া সাধারণীকৃত তত্ত্বটিই তাঁর শ্রেষ্ঠতম অবদান হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
১৯৮১ সালে এ অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে টুরিং পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বিগত ত্রিশ বছর ধরে বিশ্বের ডেটাবেজ সফটওয়্যারের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী ওরাকল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসন এর প্রােগ্রামার। ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা ল্যারি এলিসন ইউনিভার্সিটি অব শিকাগােতে পড়ার সময়ে প্রথম পরিচিত হন কম্পিউটার ডিজাইনের সাথে। সত্তরের দশকে তিনি এমডাল কর্পোরেশনে কাজ শুরু করেন। এখানে তার একটি কাজ ছিল CIA -এর জন্য ডেটাবেজ তৈরি করা। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি উৎসাহী হয়ে উঠেন ডেটাবেজ নিয়ে কাজ করতে। ১৯৭৭ সালে তিনি গড়ে তােলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ।
পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সেই তথ্য পর্যালােচনা করার জন্য প্রয়ােজনীয় প্রােগ্রামের সমষ্টি। এ ডেটাবেজে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
Edgar Frank Codd রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে সংজ্ঞায়িত করেন 'A relating database is a where all data visual to the use is organized strictly as tables of data values and where all database operations work on these tables.'
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রাম থাকে। এটি একটি জটিল সফটওয়্যার, যা ডেটা নিয়ন্ত্রণ,সংরক্ষণ এবং পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেকগুলাে কম্পিউটার প্রােগ্রামের সমন্বয়ে রিলেশনাল ডেটাবেজ ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গঠিত। রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট LIFO সিস্টেম তৈরি করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। যেমন- MS-Access, Microsoft SQL Server, DB2, Oracle, Informix, My SQL প্রভৃতি।
উদাহরণ : কলেজের লাইব্রেরি থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিক্ষার্থী বা লাইব্রেরি সদস্য বই পড়ার জন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পড়ার জন্য বাড়িতে বই নিয়ে যাওয়া পাঠকদের জন্য দুটি ভিন্ন ফাইলের সাহায্যে একটি সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেজ ফাইল তৈরি করা যেতে পারে। প্রথম ফাইলটি হতে পারে।
ক্রায়োসার্জারি কি ব্যাখ্যা কর।রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of RDBMS)
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে রেকর্ডগুলাে বিভিন্ন টেবিল/ ফাইলে জমা থাকে এবং কুয়েরির মাধ্যমে ডেটাবেজ ওটার রিলেশনশীপ তৈরি করা যায়। নিচে স্ট্যান্ডার্ড রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলাে :
- সহজে টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি করা যায়।
- রিলেশন বা সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেজ তৈরি করা যায়।
- ডেটাবেজ ইনডেক্স ও সাজানাে যায়।
- ব্যবহারকারী এক ডেটাবেজ থেকে অন্য ডেটাবেজের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
- ডেটাবেজ থেকে প্রয়ােজনীয় ডেটা খুঁজে বের করা যায়।
- বৈধভাবে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- সহজে বিভিন্ন ধরনের ফরমেটে রিপাের্ট তৈরি করা যায়।
- লেবেল তৈরি করা যায় এবং ছাপানাে যায়।
- সংখ্যাবাচক ডেটার সাহায্যে গাণিতিক কাজ করা যায়।
- ডেটার সাহায্যে প্রয়ােজনীয় চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা যায়।
- ছবি সংযােজন করে আকর্ষণীয় রিপাের্ট তৈরি করা যায়।
- উইন্ডােজের গ্রাফিক্যাল উইজার্ড ব্যবহার করে গ্রাফিক্যাল ডেটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
- সহজে অন্যান্য প্রােগ্রাম থেকে ডেটা এনে ব্যবহার করা যায়। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা প্রােগ্রাম তৈরি করা যায়।
- মেনু বিল্ডার দিয়ে অনায়াসে মেনু তৈরি করা যায়।
- রিপাের্ট, লেবেল প্রভৃতি কাজে বিভিন্ন প্রকার ফন্ট ব্যবহার করা যায়।