ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি? What is Database Management System?
ভূমিকা (Introduction : বর্তমান যুগে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে কাজ করে ডেটা এবং ইনফরমেশন। প্রতিনিয়ত তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে নিত্যনতুন ডেটা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ডেটাগুলােকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করে পাওয়া যায় ইনফরমেশন (তথ্য)।
এনটিটি (Entity) : এনটিটি হচ্ছে সত্তা যা দিয়ে অবজেক্টকে চিহ্নিত করা হয়। কোন ডেটা টেবিলকে চিহ্নিত করার জন্য টেবিলের যে নাম দেওয়া হয় তাই হচ্ছে এনটিটি। যা বাস্তব বা অবাস্তব আদর্শ শ্রেণিকরণের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রধান একক। কোন ডেটাবেজের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য যে সমস্ত রেকর্ড ব্যবহার করা হয় তাকে এনটিটি বলে। যেমন- একজন। ছাত্রের নাম, রােল, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরি হয় এনটিটি।
এই তথ্য ভাণ্ডার যেমন সুবিশাল তেমনি বৈচিত্র্যময়। তথ্যের এই সুবিশাল ভাণ্ডার থেকে প্রয়ােজনীয় তথ্যটি সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রয়ােজন তথ্যের সুনির্দিষ্ট কাঠামােবদ্ধ সমাবেশ, যাকে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে। এটি একটি বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার যা বর্তমান সময়ে যেকোনাে ধরনের শর্তের ভিত্তিতে ডেটাবেজ থেকে তথ্য উদ্ধার এবং প্রক্রিয়াকরণ করে কাজে লাগানাে হয়।
![]() |
What is Database Management System |
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে এডগার ফ্রাঙ্ক কড (Edgar Frank Codd) প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কোনাে প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজ তৈরি করে সংরক্ষণ করা হয়। ডেটাবেজ ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, ডেটা সিকিউরিটি, এনক্রিপশন প্রভৃতির উপর প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নির্ভর করে। আধুনিক যুগে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজের গুরুত্ব অনেক। এ অধ্যায়ে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে।
অধ্যায়টি অনুশীলন শেষে শিক্ষার্থীরাঃ
{tocify} $title={Table of Contents}
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট এর কার্যাবলি বিশ্লেষণ করতে পারবে।
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বর্ণনা করতে পারবে।
ডেটাবেজ তৈরি করতে পারবে। ডেটা সিকিউরিটির ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ডেটা সিকিউরিটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
ডেটা এনক্রিপশনের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ডেটা এনক্রিপশনের উপায়সমূহ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ডেটা ও তথ্যের মধ্যে পার্থক্য (Distinguish between Data and Information) :
উপাত্ত বা ডেটা | তথ্য বা ইনফরমেশন |
---|---|
১. যে কোনাে ঘটনা বা আইটেমকে ডেটা বলা হয়। | ১. ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায় তাকে তথ্য বলে । |
২. বাংলায় নম্বর ৮০, ইংরেজিতে ৭০ | ২. মােট নম্বর (৮০+৭০) = ১৫০ |
৩. ডেটা হচ্ছে একক ধারণা | ৩. তথ্য হচ্ছে সমন্বিত ধারণা। |
৪. ডেটা হচ্ছে উৎস। | ৪. তথ্য হচ্ছে ফলাফল। |
৫. ইহা এলােমেলাে শব্দ বা বর্ণ সমষ্টি। | ৫. তথ্য সাধারণত সুন্দরভাবে সাজানাে থাকে। |
৬. ডেটা সবসময় অর্থপূর্ণ নয়। | ৬. তথ্য সর্বদা অর্থপূর্ণ। |
৭. সকল তথ্যই উপাত্ত বা ডেটা হতে পারে। | ৭. সকল ডেটাই তথ্য নয়। |
৮. ডেটা দ্বারা কোন কিছু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া। | ৮. তথ্য দ্বারা পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। |
৯. ডেটার উদাহরণ : আমি খাই ভাত। | ৯. তথ্যের উদাহরণ : আমি ভাত খাই। |
১০. ডেটা দুই প্রকার যথা— সংখ্যাবাচক ও অসংখ্যাবাচক। | ১০, তথ্য তিনটি ধাপে হয়। যথা— ডেটা, প্রসেসিং ও তথ্য। |
এনটিটি (Entity) : এনটিটি হচ্ছে সত্তা যা দিয়ে অবজেক্টকে চিহ্নিত করা হয়। কোন ডেটা টেবিলকে চিহ্নিত করার জন্য টেবিলের যে নাম দেওয়া হয় তাই হচ্ছে এনটিটি। যা বাস্তব বা অবাস্তব আদর্শ শ্রেণিকরণের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রধান একক। কোন ডেটাবেজের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য যে সমস্ত রেকর্ড ব্যবহার করা হয় তাকে এনটিটি বলে। যেমন- একজন। ছাত্রের নাম, রােল, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরি হয় এনটিটি।
এনটিটি সেট (Entity Set) : একই জাতীয় এনটিটিকে এনটিটি সেট (Entity Set) বলে।
অ্যাট্রিবিউট (Attribute) : একটি এনটিটি এর বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য যে সমস্ত ফিল্ড বা আইটেম বা উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন- একজন ছাত্রের নাম, রােল, ঠিকানা ইত্যাদি হচ্ছে এক একটি অ্যাট্রিবিউট। অ্যাট্রিবিউট দুই ধরনের হতে পারে -
১. সরল অ্যাট্রিবিউট : যেমন- নাম, ঠিকানা ইত্যাদি।
২. কম্পােজিট অ্যাট্রিবিউট : যেমন- নামের প্রথমাংশ, শেষ অংশ, রােড নং, হাউজ নং, এলাকা ইত্যাদি।
ভ্যলু (Value) : কোন একটি এনটিটি-তে ব্যবহৃত প্রতিটি অ্যাট্রিবিউট এর যে মান থাকে তাকে ভেল্য বলা হয়। যেমন : Name একটি অ্যাট্রিবিউট যার মান হতে পারে Anjon, রােল অ্যাট্রিবিউট এর মান হতে পারে ৮৪০।
ডেটা হায়ারার্কি (Data Hierarchy) : ডেটা হায়ারার্কি হলাে ডেটাবেজের বিভিন্ন উপাদান যেমন- বিট, বাইট, ফিল্ড, রেকর্ড, ফাইল ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত একটি কাঠামাে। অর্থাৎ ডেটাবেজ থেকে শুরু করে ফাইল, রেকর্ড, ফিল্ড, বাইট, বিটের ধারাবাহিক সংগঠনকে ভেদ হায়ারার্কি বলে।
(Bit) : বাইনারি ডিজিট এর সংক্ষিপ্ত রূপকে বিট বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক 0 ও 1 কে বিট বলে। যেমন- 5 সংখ্যার আট বিট হবে 00000101।
বাইট (Byte) : ৪ বিটকে বাইট বলে। বাইট দ্বারা একটি অঙ্ক, বর্ণ বা অক্ষর, চিহ্ন প্রকাশ করে। যেমন-A একটি অক্ষর। এখানে 01000001 = 65 দ্বারা A অক্ষর বুঝানাে হয়েছে।
ফিল্ড (Field) : কতকগুলাে অক্ষরকে একত্রে ফিল্ড বলে। যেমন- N, a, m, e নিয়ে Name নামের একটি ফিল্ড গঠিত হয়েছে। ফিল্ড ডেটাবেজের ভিত্তি।
রেকর্ড (Record) : পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কতকগুলাে ফিল্ডকে একত্রে রেকর্ড বলে। যেমন- Roll, Name, GPA নিয়ে একটি রেকর্ড গঠিত হতে পারে।
ফাইল (File) : পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততােধিক রেকর্ডকে ফাইল বলে। যেমন- কয়েকজন ছাত্রের তথ্য বা রেকর্ড নিয়ে ফাইল হতে পারে।
ডেটাবেজ (Database) : পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততােধিক ফাইলকে ডেটাবেজ বলে। Data' শব্দের অর্থ উপাত্ত এবং ‘Base' শব্দের অর্থ ‘ঘাটি’ বা ‘সমাবেশ। তাই শাব্দিক অর্থে Database হলাে বিভিন্ন সম্পর্কিত বিষয়ের উপর ব্যাপক উপাত্তের সমাবেশ। অর্থাৎ ডেটাবেজ হলাে ইলেক্ট্রনিক ফাইলিং সিস্টেম। ডেটাবেজের টেবিলের মধ্যে ডেটা রেকর্ড আকারে সংরক্ষিত থাকে এবং রেকর্ড গঠিত হয় পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কিছু ফিল্ডের সমন্বয়ে।
ডেটাবেজের বিভিন্ন অবজেক্ট হলো— টেবিল, কুয়েরি, ফর্ম, রিপাের্ট, পেজেস, ম্যাক্রোস এন্ড মডিউলস। সহজ কথায়, পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এক বা একাধিক ফাইল নিয়ে ডেটাবেজ গঠিত হয়। যেমন- কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডেটাবেজে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ডেটা, বেতন হিসেবের ডেটা, পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত ডেটা ইত্যাদি থাকতে পারে। অনেকগুলাে ডেটাবেজকে একত্রে ডেটা ব্যাংক বলা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে একটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ডেটাবেজ উল্লেখ করা যায় । কলেজ ডেটাবেজে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট টেবিল, বেতন টেবিল, শিক্ষার্থী ভর্তি টেবিল প্রভৃতি থাকতে পারে।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম । Database Management System:
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণার জন্য উপাত্ত বা ডেটা, তথ্য বা ইনফরমেশন, এনটিটি, এনটিটি। সেট, অ্যাট্রিবিউট, ভেন্যু, ডেটা হায়ারার্কি ও ডেটাবেজ নিয়ে আলােচনা করা হলাে :উপাত্ত বা ডেটা (Data): যে কোনাে ঘটনা বা আইটেমকে ডেটা বলা হয়। ল্যাটিন শব্দ ‘Datum' এর বহুবচন ‘Data'। 'Data' অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান। সুশৃঙ্খলভাবে সাজানাে নয় এমন এক বা একাধিক বর্ণ, শব্দ, সংখ্যা, চিহ্ন, চিত্র, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট আউটপুট বা ফলাফল পাওয়ার জন্য যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপাদান কম্পিউটারে ইনপুট আকারে দেয়া হয় তাকে উপাত্ত বা ডেটা বলে।
যেমন- রােল নম্বর, ছাত্রের নাম, বাের্ডের নাম, জিপিএ ইত্যাদি।
অর্থাৎ তথ্যের অন্তর্ভুক্ত। ০১ বাংলা ১৫০ ৭০ ক্ষুদ্রতম অংশসমূহকে ডেটা উপাত্ত বলে। ডেটা সাধারণত এলােমেলাে অবস্থায় থাকে। | ডেটার উদাহরণ দেখানাে হলাে—
ডেটা দুই প্রকার। যথা-
অর্থাৎ তথ্যের অন্তর্ভুক্ত। ০১ বাংলা ১৫০ ৭০ ক্ষুদ্রতম অংশসমূহকে ডেটা উপাত্ত বলে। ডেটা সাধারণত এলােমেলাে অবস্থায় থাকে। | ডেটার উদাহরণ দেখানাে হলাে—
ডেটা দুই প্রকার। যথা-
১. সংখ্যাবাচক বা নিউমেরিক (Numeric) ডেটা ।
২. অসংখ্যাবাচকঃ বর্ণবাচক বা নন-নিউমেরিক (Non-numeric) ডেটা ।
সংখ্যাবাচক বা নিউমেরিক ডেটা : যে সমস্ত ডেটা শুধু সংখ্যা নিয়ে গঠিত হয় তাকে নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন৫, ১০, ৩০০, ৫০০০ ইত্যাদি। নিউমেরিক ডেটাকে প্রধাণত: দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. পূর্ণসংখ্যা বা ইন্টেজার : যেমন- ৫, ১০, ৫০০ ইত্যাদি।
২. ভগ্নাংশ বা ফ্লোটিং পয়েন্ট : যেমন- ২.৫, ৫.৪৯ ইত্যাদি। অসংখ্যাবাচক ।
বর্ণবাচক বা নন-নিউমেরিক ডেটা : যে সমস্ত ডেটা সংখ্যা প্রকাশ না করে বর্ণ, শব্দ, ছবি, গ্রাফিক্স ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে নন-নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন- আজাদ, ইসতি, অঞ্জন, ফারহান ইত্যাদি।
নন-নিউমেরিক ডেটাকে প্রধাণত: দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
১. স্ট্রিং ডেটা: যেমন- আজাদ, ইসতি ইত্যাদি।
২. অবজেক্ট বা গ্রাফ ডেটা : যেমন- ছবি, গ্রাফিক্স ইত্যাদি। তথ্য বা ইনফরমেশন।
(Information) : সরবরাহকৃত ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে অর্থবহ, সুশৃঙ্খল ও সুসংবদ্ধ যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলে। অর্থাৎ ডেটাকে কম্পিউটারের সাহায্যে প্রয়ােজনমত প্রক্রিয়াকরণ করে যে রিপাের্ট তৈরি করা হয় তাই তথ্য। তথ্য সাধারণত নির্ভুল, স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও সহজ সরল হতে হয়।
প্রক্রিয়াকরণঃ মনীষী মেরিল কে পােপেক-এর মতে ‘তথ্য হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উপাত্তের সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ, অর্থবােধক,আউটপুট প্রয়ােজনীয় সুসজ্জিত বিন্যাস।
২. অসংখ্যাবাচকঃ বর্ণবাচক বা নন-নিউমেরিক (Non-numeric) ডেটা ।
সংখ্যাবাচক বা নিউমেরিক ডেটা : যে সমস্ত ডেটা শুধু সংখ্যা নিয়ে গঠিত হয় তাকে নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন৫, ১০, ৩০০, ৫০০০ ইত্যাদি। নিউমেরিক ডেটাকে প্রধাণত: দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. পূর্ণসংখ্যা বা ইন্টেজার : যেমন- ৫, ১০, ৫০০ ইত্যাদি।
২. ভগ্নাংশ বা ফ্লোটিং পয়েন্ট : যেমন- ২.৫, ৫.৪৯ ইত্যাদি। অসংখ্যাবাচক ।
বর্ণবাচক বা নন-নিউমেরিক ডেটা : যে সমস্ত ডেটা সংখ্যা প্রকাশ না করে বর্ণ, শব্দ, ছবি, গ্রাফিক্স ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে নন-নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন- আজাদ, ইসতি, অঞ্জন, ফারহান ইত্যাদি।
নন-নিউমেরিক ডেটাকে প্রধাণত: দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
১. স্ট্রিং ডেটা: যেমন- আজাদ, ইসতি ইত্যাদি।
২. অবজেক্ট বা গ্রাফ ডেটা : যেমন- ছবি, গ্রাফিক্স ইত্যাদি। তথ্য বা ইনফরমেশন।
(Information) : সরবরাহকৃত ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে অর্থবহ, সুশৃঙ্খল ও সুসংবদ্ধ যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলে। অর্থাৎ ডেটাকে কম্পিউটারের সাহায্যে প্রয়ােজনমত প্রক্রিয়াকরণ করে যে রিপাের্ট তৈরি করা হয় তাই তথ্য। তথ্য সাধারণত নির্ভুল, স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও সহজ সরল হতে হয়।
প্রক্রিয়াকরণঃ মনীষী মেরিল কে পােপেক-এর মতে ‘তথ্য হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উপাত্তের সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ, অর্থবােধক,আউটপুট প্রয়ােজনীয় সুসজ্জিত বিন্যাস।
ডেটাবেজের বৈশিষ্ট্য (Characteristies of Database) :
ডেটাবেজে ডেটাসমূহ নির্দিষ্ট কোনাে বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং এক বা একাধিক ডেটা টেবিলে বিভক্ত থাকে। যেমন- টেলিফোন ইনডেক্স।
সহজে ডেটা টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি, ফর্ম ডিজাইন, কুয়েরি ও রিপাের্ট তৈরি করা যায়।
ডেটাবেজের ফাইলের সাথে অন্য প্রােগ্রামের ফাইলের লিঙ্ক স্থাপন করা যায়। সহজে নানা ফরমেটে রিপোের্ট ও লেবেল তৈরি করা ও ছাপানাে যায়।
প্রতিটি ডেটাবেজ ফাইল বিভিন্ন ব্যবহারিক প্রােগ্রামের সাথে শেয়ার করা যায় ও ডেটা পরিবর্তন করা যায়।
ডেটাবেজ ব্যবহারকারী প্রােগ্রাম থেকে শুধুমাত্র ডেটা আইটেম ব্যবহার করে।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System- DBMS) :
DBMS এর পূর্ণ নাম হলাে Database Management System যার মাধ্যমে ডেটাবেজ পরিচালনা, তথ্যের স্থান সংকুলান, নিরাপত্তা, ব্যাকআপ, তথ্য সংগ্রহের জনমতি ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয় তাকে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে। এটি হলাে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যবস্থা।
একটি ডেটাবেজ বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ব্যবহার করা যায় না। তবে SQL সহ কিছু স্ট্যান্ডার্ড ডেটাবেজ ব্যবহার করে একই অ্যাপ্লিকেশনে বিভিন্ন সিস্টেমে একসাথে কাজ করা যায়। ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে ডেটাবেজের তথ্যাবলি সংরক্ষণ সহজতর করে এবং তা ব্যবহারে সহায়তা প্রদান করে।
এটি ডেটাবেজ ও ডেটাবেজ ব্যবহারকারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সিস্টেম সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে।পরিদর্শক DBMS-এ বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রাম থাকে। ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রামের সাহায্যে ডেটাবেজের ডেটা সাথে সংযােগ স্থাপন করে প্রয়ােজনীয় কাজ সম্পাদন করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত কয়েকটি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রােগ্রাম হলাে— Microsoft Access,CF সার্ভার MySQL, SQL-Lite, Microsoft SQL Server, Oracle, Sybase, dBASE, FoxPro, IBM DB2 Zonih i.
প্রতিটি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) এর চারটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান রয়েছে।
যথা: প্রতিটি DBMS একটি মডেল যার ওপর ভিত্তি করে ডেটাবেজগুলাে তৈরি ও ব্যবহৃত হয়। এ তথ্য সংরক্ষণের মৌলিক কাঠামাে যার মধ্যে হায়ারার্কিক্যাল, নেটওয়ার্ক, রিলেশনাল ও অবজেক্ট উল্লেখযােগ্য।
DBMS ডেটাবেজের প্রতিটি উপাত্তের কাঠামাে নির্ধারণ করে। DBMS এর ডেটা কুয়েরি ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে ব্যবহারকারী ডেটাবেজ তৈরি, তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, অনুসন্ধান ও বিভিন্ন পরিচালনামূলক কাজ করে। অনুমতি ছাড়া ব্যবহারকারী তথ্যের কোনাে ক্ষতি করতে পারে না। এতে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। প্রতিটি DBMS এর একটি মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে ট্রানজেকশন। এর মাধ্যমে এক সাথে অনেক ব্যবহারকারী একই সময়ে ডেটাবেজ ব্যবহার করতে পারে।
If you like this article, please share it with your friends and near and dear ones.