ক্রায়োসার্জারি কি ব্যাখ্যা কর। Explain cryosurgery.

ক্রায়োসার্জারি কি ব্যাখ্যা কর। Explain cryosurgery.
This is a copyright-free image from pixabay.com

ক্রায়োসার্জারি কি :

"ক্রায়ােসার্জারি (Cryosurgery) অত্যন্ত শীতলীকরণ তরল পদার্থ, ক্রায়ােপ্রােব দাঁরা প্রয়ােগের মাধ্যমে মানব শরীর এর অসুস্থ বা স্বাভাবিক নয় এমন, tissue বা কোষ-কলা নষ্ট করার চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ক্রায়ােসার্জারি বলে।" 

ক্রায়োসার্জারি, ক্রায়োথেরাপি (Cryotherapy) নামেও পরিচিত।

"আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে, অস্বাভাবিক টিস্যু (আচিল, ব্রণ ও চর্ম ক্যান্সার) ধ্বংস করতে নাইট্রোজেন গ্যাস বা আর্গন গ্যাস হতে উৎপাদিত প্রচন্ড ঠান্ডা তরল ত্বকের বাহ্যিক অংশের চামড়ার চিকিৎসায় ব্যবহূত হয় যা ক্রায়োসার্জারি নামে পরিচিত।"


"Cryosurgery" শব্দটি গ্রিক শব্দ  'Cryo' (অর্থাৎ খুবই ঠাণ্ডা) থেকে এসেছে এবং 'Surgery' অর্থ হাতের কাজ। 

ক্রায়ােপ্রােব পৌছাতে পারে শরীরের এমন সব অঙ্গের চিকিৎসা এ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। তবে সাধারণত এক সেন্টিমিটারের চাইতে বড় শক্ত টিউমারের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি বেশি কার্যকর হতে দেখা যায়। 

বরফ শীতল তাপমাত্রায় কোষকলা ধ্বংস করার ক্ষমতাকে ক্রায়ােসার্জারি পদ্ধতিতে কাজে লাগানাে হয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল তাপমাত্রায় কোষকলার অভ্যন্তরে বলের আকৃতিবিশিষ্ট ছােট ছােট বরফের কৃস্টাল তৈরি করে আক্রান্ত কোষগুলােকে ধ্বংস করে ফেলে। তবে অসুস্থ অঙ্গের কোষ কলায় রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলােকে হিমায়িত করতে পারলে চিকিৎসা অধিক কার্যকর হয়ে ওঠে। 

এ যন্ত্রে সাধারণত শীতলকারী হিসেবে তরল নাইট্রোজেন অথবা আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। শরীরের বাইরের দিকে অবস্থিত অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শীতল এই পদার্থ আক্রান্ত স্থানের কোষ কলার ওপর তুলা জড়ানাে শলাকা বা স্প্রে করার কোনাে যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি প্রয়ােগ করা হয়।

ক্রায়ােসার্জারির মূল উদ্দেশ্য :

ক্রায়ােসার্জারির মূল উদ্দেশ্য হলাে ত্বকের আক্রান্ত স্থানের কোষসমূহকে হিমায়িত করে ধ্বংস করা এবং এদের পার্শ্ববর্তী কোষসমূহকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা। আধুনিক যুগে ক্রায়ােসার্জারি হলাে এমন একটি পদ্ধতি যার সাহায্যে অপ্রত্যাশিত ত্বক কোষকে হিমায়িত করে ধ্বংস করা হয় এবং পরবর্তীতে ধ্বংসপ্রাপ্ত কোষ অপসারণ করা হয়। 

ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতি : 

অস্বাভাবিক বা রােগাক্রান্ত টিস্যুকে অত্যধিক ঠাণ্ডা প্রয়ােগ করে ক্রায়ােসার্জারি বা ক্রায়ােথেরাপি দেওয়া হয়। বিশেষত এক ধরনের চর্ম রােগের চিকিৎসায় ক্রায়ােসার্জারি করা হয়। তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, আর্গন, ডাইমিথাইল ইথার প্রােপেন ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। 

প্রায় শত বছর আগে থেকেই ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি প্রয়ােগ করা হচ্ছে। ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতিতে যে নল ব্যবহার করে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ড্রাইঅক্সাইড, আর্গন ও ডাই মিথাইল ইথার ব্যবহার করা হয় তাকে ক্রায়ােপ্রােব বলে। 

এ ক্ষেত্রে কখনাে কখনাে একটি নলের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইডের অত্যন্ত ছােট ছােট বরফের টুকরাে তৈরি করে অথবা এসিটোনের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় মণ্ডের মতাে তৈরি করেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রয়ােগ পদ্ধতি এবং ঠাণ্ডার মাত্রা ক্ষতের আয়তন, কোষ কলার ধরন, গভীরতা ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। শরীরের অভ্যন্তরে টিউমারের ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানের উপর স্থাপিত ক্রায়ােপ্রােব নামক ফাঁপা নলটির মধ্য দিয়ে শীতল পদার্থ সঞ্চালিত করে চারপাশে এক-দুই ইঞ্চি পরিমাণ জায়গায় অবস্থিত সুস্থ কোষ কলাসহ টিউমারটি হিমায়িত করা হয়। 

কখনাে কখনাে টিউমারের বিভিন্ন অংশের জন্য একের অধিক প্রােব ব্যবহার করা হয়। এরপর প্রােবগুলাে সরিয়ে নিয়ে হিমায়িত কোষগুলাে গলে যেতে দেওয়া হয়। একইভাবে কয়েকবার এ পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি ঘটানাে হয়। কাক্ষিত অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার পর এ কোষগুলােকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরে শােষিত হয়ে যেতে দেওয়া হয় অথবা এগুলাে শরীরের উপরিভাগে বের হয়ে এসে শক্ত আবরণ বিশিষ্ট ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে

এ পদ্ধতির একটি বিশেষ সুবিধা হলাে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছার জন্য এ প্রক্রিয়া বার বার প্রয়ােগ করা হয়। বিনাইন ক্ষতের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ফলপ্রসূ হয়ে থাকে। কিন্তু ক্যান্সার কোষকলা ধ্বংসের জন্য সাধারণত -৪০ থেকে -৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়ােগ করা হয়। অন্যান্য অঙ্গ বা কোষকলাকে ঘনীভূত হওয়া থেকে মুক্ত রাখতে একটি থার্মোসেন্সরের সাহায্যে নিকটবর্তী অঙ্গগুলাের তাপমাত্রার ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। 

বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে খুব সরু (আলট্রা থিন) ক্রায়াে সুচ ব্যবহারের মাধ্যমে বরফ প্রয়ােগের প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুচারুরূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে ওঠায় জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমিয়ে আনা সম্ভব।

শরীরের অভ্যন্তরস্থ টিউমারের ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রদানের আগে MRI (Magnetic Resonance Imaging) পদ্ধতির সাহায্যে টিউমারের সঠিক অবস্থান ও আয়তন নির্ধারণ করে নেওয়া হয়। এ ধরনের ইমেজিং পদ্ধতির সাহায্যে ক্রায়োলাইট এর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ কোষকলাগুলােকে প্রভাবমুক্ত রাখা এবং চলমান প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয়। বয়স্ক রােগীদের প্রােস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ক্রায়ােসার্জারি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

কারণ এ ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন ধারায় চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নার্ভ-স্পেয়ারিং পদ্ধতি প্রয়ােগের মাধ্যমে উত্তপ্ত করে তােলার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত সরবরাহকারী স্নায়ু ও পার্শ্ববর্তী স্থানে অবস্থিত স্নায়ুগুলাে উত্তপ্ত করে রেখে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

ক্রায়ােসার্জারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হলাে :

আলট্রাসাউন্ড, MRI বা কম্পিউটেড টমােগ্রাফি, ক্রায়ােপ্রােব, স্প্রে ডিভাইস বা কটন বাট। ব্রঙ্কোস্কোপ, ডার্মাটোস্কোপ, ব্রায়মিল, ক্রাইএসি। ক্রাইয়ােজেন, ক্রাইয়াে আলফা, থার্মোসেন্সর,Histofreezer etc.
আন্ট্রাসাউন্ড ইমেজিং পরীক্ষার সাহায্যে ব্রেস্ট-এর কোনাে ধরনের ক্ষত আছে কিনা এবং ক্ষতের আকার, আকৃতি, ধরন (সিস্ট বা মলিড) ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায়। 
টিউমারটি প্রাথমিক অবস্থা না মারাত্মক তাও শনাক্ত করা যায়। ৩০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের রােগীদের ক্ষেত্রে আন্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা দ্বারা ৮০% থেকে ৮৫% পর্যন্ত সঠিকভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়।

ক্ৰয়ােসার্জারি চিকিৎসার ব্যবহার :

  • স্কিন এর ছােট tumor, তিল, আচিল, মেছতা, ত্বকের ক্যান্সার নিরাময় করার জন্য ক্ৰয়ােসার্জারি ব্যবহার করা হয়।
  • দেহের অভ্যন্তরে কিছু রােগ যেমন- যকৃত ক্যান্সার, প্রােস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার, পাইলস ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ইত্যাদি চিকিৎসাও করা হয়। 
  • মস্তিষ্কের টিউমার, চোখের ছানি, প্রসূতি সমস্যায়ও এ পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়। 
  • মানবদেহের কোষ কলার কোমল অস্থির চিকিৎসা ক্রায়ােসার্জারির মাধ্যমে করা হয়।

ক্রয়ােসার্জারিতে আইসিটির গুরুত্ব :

  • যে অংশে ক্রায়ােসার্জারি প্রয়ােগ করা হয় তা প্রথমে শনাক্ত করা হয় এবং কতটুকু জায়গায় ক্রায়ােসার্জারি প্রয়ােগ করতে হবে সেটা ঠিক করা হয়। এক ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজগুলাে করা হয়। যেমন- যকৃত ক্যান্সারের ক্ষেত্রে SKALPEL-ICT নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। 
  • ক্রায়ােসার্জারিতে জটিল সব কাজগুলাে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রােগ্রামের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে করা হয়। রােগীর বিভিন্ন। তথ্য, ক্রায়ােসার্জারি সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল ইত্যাদি ডাটাবেজ সিস্টেমে সংরক্ষণ করা যায়। প্রস্তাবিত ক্রায়াোেেব শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে কীভাবে প্রবেশ করবে এবং প্রকৃত ক্রায়ােপ্রােব কীভাবে প্রবেশ করছে তার তুলনামূলক চিত্র দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
  • ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসকদের মত বিনিময়ের জন্য টেলিকনফারেন্সিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকে।

ক্রয়ােসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতির সুবিধা : 

ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতির উল্লেখযােগ্য সুবিধা নিচে দেওয়া হলাে
  • শীতক যন্ত্রটি আক্রান্ত টিস্যুতে এমনভাবে লাগানাে হয় যাতে টিস্যুর সবধরনের ক্রিয়াকলাপ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে এবং চিকিৎসা শেষে টিস্যুকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে আক্রান্ত টিস্যুর প্রায় ৯০% ধ্বংস হয়ে যায়। 
  • এটি বারবার করা সম্ভব। অন্যান্য সার্জারির তুলনায় এর খরচ কম। 
  • এ পদ্ধতিতে কোনাে স্থানের তাপমাত্রা অতি নিচে নামানাে হলে সংশ্লিষ্ট স্থান হতে রক্ত সরে যায় এবং রক্তনালীগুলাে সংকুচিত হয়। ফলে রক্তপাত হয় না বললেই চলে, হলেও খুবই কম।
  • কেমােথেরাপি বা রেডিও থেরাপি চিকিৎসায় এবং বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের মতাে এ পদ্ধতির কোনাে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 
  • এটি সার্জারির চেয়ে কম কষ্টকর এবং ব্যাথা, রক্তক্ষরণ ও অস্ত্রোপচারের অন্যান্য জটিলতা কমিয়ে আনে।
  • এ ধরনের চিকিৎসায় শুধু লােকাল এনেসথেসিয়া ব্যবহার করলেই হয়।

ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতির অসুবিধা : 

সুবিধার পাশাপাশি এ চিকিৎসা পদ্ধতির কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন-
  • দীর্ঘকালীন কার্যকারিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
  • যকৃত, পিত্ত, প্রধান রক্তনালীতে রক্তক্ষরণ ঘটায়।
  • তুকের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ক্রায়ােসার্জারির ফলে ত্বক ফুলে যায় এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • হাড়ের টিউমার চিকিৎসার সময় কাছাকাছি অবস্থিত অস্থি কলা ধ্বংস এবং হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে। 
  • রােগ ছড়িয়ে পড়ে নি এমন ক্যান্সার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি কার্যকর, অন্যথায় তেমন কার্যকর নয়।

জেনে রাখাে : তিল, আঁচিল, মেছতা, বিভিন্ন ধরনের টিউমার, ক্যান্সার (যকৃত, ফুসফুস, স্তন), প্রােস্টেট ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার, গ্রীবাদেশীয় গােলযােগ, পাইলস চিকিৎসায় ক্রায়ােসার্জারি ব্যবহার করা হয়। ডাই মিথাইল ইথার প্রােপেন, তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড, তরল নাইট্রাস অক্সাইড, তরল অক্সিজেন, হিলিয়াম, তরল নাইট্রোজেন বা আর্গন ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

চিন্তা করে উত্তর দাও : 
  1. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। 
  2. চর্মরােগে ক্রায়ােথেরাপি ব্যবহার করা হয় কেন? 
  3. নিম্ন তাপমাত্রায় অসুস্থ টিস্যুর জীবাণু কীভাবে ধ্বংস করা যায় ব্যাখ্যা কর।

শরীরের অভ্যন্তরে সার্জারি করার যন্ত্রের নাম কি

কাটিং যন্ত্রপাতির ছবিঃ



ধরার যন্ত্রপাতির ছবিঃ


কোনো বড়ো মাংস খণ্ড ধরে রাখার যন্ত্রঃ

Writers: In collaboration with Prokash sir and Mehadi sir.


Related search tag: ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর,ক্রায়োসার্জারি অর্থ কি,ক্রায়োথেরাপি কি,ক্রায়োসার্জারি ব্যবহার,ক্রায়োসার্জারি কি ict,শরীরের অভ্যন্তরে সার্জারি করার যন্ত্রের নাম কি
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url